শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৬

গোপেশ দে

নকটার্ন
গোপেশ দে



ক্যাম্প করেছে ওরা বাড়ির সম্মুখে
উঠানে সন্ধ্যে গেছে বেশ বহুক্ষণ
রাতের উষ্ণতায় নকটার্ন দেখে যায়
গীটারিস্ট একজন।
তার চোখে ক্লান্তি নেই,ঘুম নেই
আছে নির্ঘুম পৃথিবী।
একজন কবি হতে সাধ জেগেছে তার,
সিগারেটে টান মেরে
নিকোটিনে হলদে হয়ে সকলকে
আশ্বস্ত করে।
আচ্ছা তোরা বোস্ আমি গাইছি....
বন্ধু বান্ধবীরা আজ অন্ধকারে হাতরে
নেয় পৃথিবীর গন্ধ।
জোৎস্নায় স্নান করে কোমল চোখের
তারা।
গীটারে রবীন্দ্রনাথ শুনতে কেমন
লাগে?
গীটারিস্ট গান ধরে ওঠে-
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে....
গান হল শুরু....
প্লেটে প্লেটে বিরিয়ানি হল
বিতরণ,
হঠাৎ উলঙ্গ হল পৃথিবী
আদিম জগত হতে পাগলের উৎপাত।
পুরোপুরি উলঙ্গ হয়ে প্লেট নিয়ে বসে,
মেয়েগুলি ইরেরেরে বলে প্লেট
গুলি ঝেড়ে ফেলে অন্ধকারে হাত
পাতে বন্ধুদের হাতে ভয়েতে
স্বাভাবিক ঘৃণায়।
উন্মাদ খেয়ে যায় মাটিতে পড়া
রাইচগুলি।
দূর থেকে সবাই ভয়েতে
অসভ্য রাত্রির নেয় ঘ্রাণ।
কোথাও কেউ নেই....
আছে শুধু গীটারিস্ট সেই একজন
গাইছে করুণ সুরে
হারানো পৃথিবীর লেখা গান।
দূর থেকে বাকী ছয়-তিনটি যুগল
দেবদারু গাছের নীচে
নির্লজ্জের মত চেয়ে থাকে
চেয়ে থাকে আরেকজন-
পোড়োবাড়িটির স্কাইলাইট।
#

মন শুধু উদাসী বাউল
- গোপেশ দে
সময়ের ডানামেলা সন্ধ্যায়
পথের মাঝে পড়ে থাকা কোনো স্মৃতি
তুলতে গিয়ে কেঁদে উঠে মন।
চোখের সড়ক দিয়ে
জলের রেলগাড়ি
নেমে আসে রোমন্থনের ক্লাইম্যাক্স ভেসে।
আমি শুধু প্রতীক্ষায় রত
উদাসী হাওয়ারা সব ট্রামে চেপে
আগন্তুক ভেবে
আমার শরীরে লাগিয়ে দিক
আলতো করে।
ট্রামে বসে জানালার পাশে
বসলেই মন শুধু উদাসী বাউল





এবং একুশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন